সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ক্যারমবোর্ডের গুটি চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবক হত্যা মামলায় সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২য়-এর বিচারক ঝলক রায় এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মতিন মিয়া, নুরুল হক, আনর আলী, আফতাব, সিরাজ আলী, মংলা মিয়া ও হেলাল। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে বাজিতপুর গ্রামে সড়কের পাশে একই গ্রামের মাসুক মিয়া ও হুশিয়ার আলীর ভুসি মালের দোকানের ব্যবসা ছিল। ঘটনার দিন বিকালে হুশিয়ার আলী মাসুক মিয়ার কাছে ক্যারম খেলার জন্য বোডের গুটি চায় কিন্তু মাসুক মিয়া না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বিকালে হুশিয়ার আলী তার সহযোগী আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে মাসুক মিয়া ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মাসুক মিয়ার চাচা জামাল উদ্দিনকে আসামিরা বুকে সুলফি দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে রবিবার আদালত সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুই জনকে এক মাস করে আর আরও তিন জনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করে। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন, বাকি মংলা ও হেলাল মিয়া পলাতক।