মাদারীপুরে ৯ দিনে ২৩টি অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ৪৪ মামলা, ২৭ জনকে কারাদণ্ড ও ১৭ লাখ তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৪৫টি দেশীয় প্রযুক্তির ড্রেজার ও অন্যান্য নৌযান জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের নির্দেশে মাদারীপুরের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার নদে ৫ জুন (সোমবার) থেকে ১৩ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা জানান, জেলায় কোনো স্বীকৃত বালুমহাল নেই। তাই বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগও নেই। তবে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতু ও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে নদীখনন কাজে সীমিত সংখ্যক ড্রেজার অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিসি স্যারের নির্দেশে একযোগে মাদারীপুর জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করায় বর্তমানে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্র নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন চক্র ও এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটি নির্মূল করতে প্রয়োজন স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও প্রভাবশালী বিভিন্ন মহলের সদিচ্ছা। বেশির ভাগ সময় নদীর গহীনে গভীর রাতে এসব অবৈধ কাজ পরিচালিত হয় যা শুধু প্রশাসনিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তিনি এসময় মাদারীপুর জেলার সকল পর্যায় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয় জেলা প্রশাসনের নজরে আনলে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান এ অবৈধ বালু উত্তোলন চক্র বন্ধে অভাবনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মাদারীপুরবাসী।