গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচণ্ড রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠছে মহানগরী। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে হাত মিলিয়ে, কোলাকুলি করে দোয়া ও ভোট চান। বিশেষত মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আট জন প্রার্থীর মধ্যে চার/পাঁচ জনের প্রচারণা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে মেয়র পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমতউল্লা খান ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। ভোটারদের অনেকের ধারণা, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে আজমতউল্লা খানের সঙ্গে জায়েদা খাতুনের।
এছাড়া মেয়র পদে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএম নিয়াজউদ্দিন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান তাদের সমর্থকদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। পাশাপাশি সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমতউল্লা খান বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালান। তিনি বেলা ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল। পরে তিনি শহরের মারিয়ালী, বিলাশপুর এলাকায় প্রচারণা শেষে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় অপর একটি কর্মীসভায় যোগ দেন। এ সময় আজমতউল্লা খান বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে গাজীপুরকে স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলব।’ এছাড়া কোনাবাড়ী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজমতউল্লার পক্ষে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের আরেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এদিকে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন গতকাল নগরীর কাশিমপুর থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত জিরানী বাজার, পানিশাইল, ভাবনীপুর, চক্রবর্তী, বেক্সিমকো, হাতিমারা, সুলতান মার্কেট, বাগবাড়ী ও কাশিমপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুর শহরকে ও শহরবাসীকে রক্ষা করতে চাই, তাদের উন্নয়ন ও কল্যাণ চাই। আমার ছেলের রেখে যাওয়া নগরীর অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে চাই।’ এ সময় তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুল আলম আসকরসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।