নগরীতে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। লাগাতার দুই দিনের গ্যাস সংকটে বিপর্যস্ত মানুষের পক্ষে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) হঠাত্ ঘোষণা দিয়েছে, ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে। তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার এটা কোনো যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।
বক্তারা আরো বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড; কিন্তু বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাসের অংশীদারিত্ব একেবারেই নেই। ফলে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকার অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলএনজি নির্ভরতা কমিয়ে চট্টগ্রামকে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।
চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন—সৌরভ প্রিয় পাল, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জাফর, রাসেল উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, মো. ফোরকান, ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মো. ফিরোজ, মিঠুন বৈষ্ণব, শরিফুল ইসলাম জুয়েল, মো. রুবেল প্রমুখ।