ত্বককে আরও সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে হাতের বা পায়ের লোম কিংবা আন্ডারআর্মসের লোম পরিষ্কার করেন অনেক নারী । তবে অনেকেই আবার ওয়াক্সিংয়ের সময় ব্যথার ভয়ে আতঙ্কিত থাকেন। এর কারণে ওয়াক্সিংকে এড়িয়েও চলেন অধিকাংশ। তবে ওয়াক্সিং করতে চাইলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে ওয়াক্সিং এর সময় কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন । চলুন জেনে নেই:
গোসল করুন
উষ্ণ জল ও স্টিম ব্যবহার করলে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। ওয়াক্সিং করার সময় লোম টেনে তোলা সহজ করে তোলে। গরম জল ত্বকের ছিদ্রপথও খুলে দেয় ও ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে তোলে। ত্বকের মধ্যে ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
এক্সফোলিয়েশন
ওয়াক্সিং এর আগে এক্সফোলিয়েট করা শুষ্ক ত্বককে অপসারণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনগ্রাউন লোমগুলিকে আলগা করে তোলে। ওয়াক্সিংয়ের পদ্ধতি চলাকালীন সহজেই অপসারণ করতে সুবিধে হয়। এক্সফোলিয়েটিং ত্বকের ওপর মৃত কোষের উপরের স্তরকে অপসারণ করতে সাহায্য করে, ওয়াক্সিংয়ের জেরে চুলের সঙ্গে আরও ভালোভাবে লেগে থাকতে দেয়, অপসারণ করা সহজ করে।
ক্যাফেইন খাবেন না
প্রথমবার নয়, নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে ক্যাফেইন জাতীয় কোনও পানীয় খাবেন না। যদি প্রথমবারের জন্য ওয়াক্সিং করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে ২ ঘণ্টা বিয়ার, অ্যালকোহল, কফি পান করবেন না। ওয়াক্সিং করার পরে ২ ঘণ্টা পর কফি বা অ্যালকোহল পান করতে পারেন। এছাড়া ত্বক ও শরীরকে হাইড্রেট করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
পাউডার
ওয়াক্সিং করার সময় ত্বকে ট্যালকম পাউডারের পাতলা স্তর লাগান। তাতে ত্বককে প্রশমিত করতে ও ওয়াক্সিংয়ের পদ্ধতিকে সহজ করতে সুবিধা হবে। দ্রুত তুলতেও সাহায্য করে। বাড়িতে বা পার্লারে যেখানেই করুন না কেন, পাউডার ব্যবহার করা অবশ্যই দরকার।
ওষুধও সাহায্য করে
ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে আরাম পেতে চাইলে ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। তাতে ওয়াক্সিং আরও আরামদায়ক করে তুলতে পা ব্যথার ওষুধের মাধ্যমে ওই জায়গাটি অসাড় করে দেয়। তাতে ওয়াক্সিং করলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
পিরিয়ডের পর ওয়াক্সিং করুন
ওয়াক্সিং করার সময় যাতে মারাত্মক ব্যথা না লাগে তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে বা পরে ওয়াক্সিং করুন।