শুক্রবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় হয়েছে বৃষ্টি। প্রচণ্ড দাবদাহের পারদ কিছুটা হলেও কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল ঈদের দিন সারা দেশেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। একইসঙ্গে বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া। বেশ কয়েকটি এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ১৯ দিন পর রাজধানীবাসী দেখা পেলেন বৃষ্টির। এ বৃষ্টি বহু কাঙ্ক্ষিত। কারণ, এর মধ্যে প্রচণ্ড তাপে পুড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। আজ শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবার দেশে এক দিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কমেছে এ সময়।
সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দেশের সব কয়টি বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে—৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়—৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে আব্দুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা দিনে ও রাতে সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আজ বাতাসের আদ্রতা সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৬২ শতাংশ। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪২ দশমিক শূন্য দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ নেত্রকোনায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকা ও পটুয়াখালীতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
এদিন কক্সবাজারে ১৫ মিলিমিটার, কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলায় ১১ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ ও শ্রীমঙ্গলে আট মিলিমিটার, টেকনাফে চার মিলিমিটার, চট্টগ্রাম ও বরিশালের খেপুপাড়ায় এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।