চালকের গাফিলতি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া নৌ চ্যানেলে সার নিয়ে কার্গো জাহাজটি ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে তদন্ত কমিটি। বন্দর কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য দিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, দু’একদিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদনটি নৌপরিবহণ মন্ত্রনালয়ে জমা দিবে। তবে এই মুহূর্তে নৌ দুর্ঘটনায় বন্দরের নৌচ্যানেল নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে হারবাড়িয়া-৮ এ সার নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেসের মাস্টার (চালক) ওবায়দুর রহমানের গাফিলতি পাওয়া গেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে ওই সময় ঘন কুয়াশা থাকায় মাস্টারের উচিৎ ছিল জাহাজটি না চালিয়ে কোনো এক জায়গায় অবস্থান করা। কিন্ত মাস্টার সেটি না করে ভুল সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী হারবাড়িয়া-৯ এ অবস্থান করা ‘এমভি ভিটা অলিম্পিক’ নামে বিদেশি জাহাজ থেকে ৫০০ টন সার বোঝাই করে ছেড়ে আসে। এরপরে পথিমধ্যে হারবাড়িয়া-৮ এ অবস্থান করা অন্য আরেকটি বিদেশি জাহাজ ‘সুপ্রিম ভ্যলো’র টার্ণ করার সময় ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে সেটিতে ধাক্কায় লাগায় শাহাজালাল এক্সপ্রেস লাইটারটি। ওই সময়ই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে লাইটারটি ডুবে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে মার্কিন বয়া (লাল সতর্ক বয়া) বসিয়ে তদন্ত শুরু করে বন্দর কর্তৃপেক্ষের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেন, পাইলট ফারুক আহেম্মেদ এবং মেরিন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াদ খাঁন।
ডুবে যাওয়া লাইটার শাহাজালাল এক্সপ্রেসের মালিকানাধীণ প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই শিপিং লাইন্সের মালিক আজাহার সিদ্দিকের দাবি, লাইটারটি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মাস্টার ওবায়দুর রহমানের কোনো গাফিলতি ছিল না। তিনি একজন দক্ষ চালক।
এছাড়া কোনও বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই হওয়ার পর সেখানে এক মূহুর্তে থাকতে দেওয়া হয় না, কাজেই সেখান থেকে অন্যত্র অবস্থান নেওয়ার জন্য ঘন কুয়াশায়ও মাস্টারের লাইটারটি চালাতে হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মধ্য রাতে মোংলা বন্দরে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে শাহাজালাল লাইটার জাহাজটি ডুবে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ওই জাহাজে থাকা আট স্টাফ।