বরগুনার পাথরঘাটায় কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির কর্মসূচিতে বিচ্ছিন্নভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। এতে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে এবং পাথরঘাটা থানার সামনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
এতে পাথরঘাটা পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এরফান আহমেদ সোয়েন, পৌর যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, পৌর যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আবদুল হাদিদ, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাহাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খাইরুল ইসলাম শরীফ, হাফেজ আলমগীর হোসেন, মিজানুর রহমান, দুলাল আহমদ, রকিব খান, মোহাম্মদ সেন্টু হাওলাদার, বাকি বিল্লাহ ফরাজি ও সাইদ বেলাল আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পৌর যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রুবাইয়্যাত আলী জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মাসুমের মাথায় অনেক আঘাত লেগেছে। যে কারণে সিটিস্ক্যান ছাড়া কিছু বলা সম্ভব না। তাই তার পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা অনুযায়ী পাথরঘাটার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় কর্মসূচি নেওয়া হয়। এতে অংশ নিতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে মারধর করে অফিস ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ, ও ছাত্রলীগের নেতারা। এছাড়াও উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নে বাধার মুখে পদযাত্রা পণ্ড হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমদ সুজন জানান, আমরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ে শান্তি সমাবেশ করি। এ সময় জানতে পারি বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। এর কারণ জানতে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।
দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে পাথরঘাটা পৌর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাসির আকন জানান, বিএনপির দলীয় কোন্দলে তারা অফিস ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির হাতাহাতির সংবাদ পেয়েছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।