পার্বত্যাঞ্চলে জঙ্গি উত্থানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, কে কি নাম ধরে আসছে তা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না। প্রাধান্য পাচ্ছে তারা অস্ত্রধারী ও জঙ্গি। যারা খেয়ালের বশে অস্ত্র তুলে নিয়ে ভুল পথে পা বাড়িয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তাদের সরকার সহায়তা দেবে। সরকার চায় তারা স্বাভাবিক ও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করুক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিন পাবর্ত্য জেলায় জঙ্গির উত্থান রোধে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে নতুন নতুন রাস্তাঘাট ও বিওপি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজিবির সংখ্যা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের ঐ স্থানে পাঠানো হবে। এজন্য যা যা ইকুইপমেন্ট দরকার তার ব্যবস্থা করছি। আর দুর্গম এলাকায় দ্রুত মুভ করার জন্য সব সময় ভিজিল্যান্স প্রস্তুত ও হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে জঙ্গিদের অপতত্পরতা আর থাকবে না।
মন্ত্রী গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন। জঙ্গি দমনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই জঙ্গির কথা শোনা যাচ্ছে, তখনই তাদের চিহ্নিত করে ধরে ফেলা হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে সকালে বিজিবির প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ও তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বিজিবি একটি সুসংগঠিত, চৌকশ, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, নারী ও শিশু পাচার রোধ, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, দুর্যোগ মোকাবিলা, অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। মন্ত্রী বিজিবির দুই জন বীরশ্রেষ্ঠ, আট জন বীর-উত্তম, ৩২ জন বীরবিক্রম এবং ৭৭ জন বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত বীরসহ ৮১৭ জন শহিদের প্র্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।