পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজধানীর মিরপুর থেকে অপহরণের পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নিয়ে সোহেল প্রধান (২৬) নামে এক ডিসলাইনের ক্যাবল ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামাল মোল্লা, জামাল মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, হারুন মোল্লা, মহসিন মোল্লা, পলাতক আমির হোসেন, পলাতক জাকির হোসেন ও পলাতক জাবেদ হোসেন। এছাড়া মামলা থেকে ১২ আসামি খালাস পেয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী সোহেল প্রধান মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন টেংগারচর গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে। গ্রাম্য দলাদলির রেশ ধরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৭ সালের ৫ মে রাত ৯টার দিকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেলকে হত্যার জন্য ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর থেকে তাকে অপহরণ করেন।
‘তারা সোহেলকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে সাদা গাড়িতে টেংগারচর গ্রামের কামাল মোল্লার (আসামি) বাড়ির সামনে নিয়ে যান। এরপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশের ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে লোহার হাতুড়ি, লোহার রড ও লোহার পাইপসহ নানা অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করেন।’
মামলায় সূত্রে আরও জানা যায়, সোহেল মারা গেছেন ভেবে টেংগারচর থেকে আসামিরা তাকে সিএনজিচালিত অটোতে করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশে নিয়ে যায়। এ সময় পথিমধ্যে টহল পুলিশের গাড়ির আওয়াজ পেয়ে আসামিরা তড়িঘড়ি করে গুরুতর আহত সোহেলকে জামালদি ব্র্যাক অফিসের পাশে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে টহলরত পুলিশ আহত সোহেলকে উদ্ধার করে গজারিয়া (ভবেরচর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে টহলরত পুলিশ আহত সোহেলকে উদ্ধার করে গজারিয়া (ভবেরচর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সোহেল তার ভাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আসামিদের নাম ও ঘটনা বলে যান বলে জানা গেছে।