ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের সামনে বসন্ত কুমার দাস (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে পরকীয়ার জেরে মারধরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বন বিভাগের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন।
গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই হেমন্ত দাস অভিযোগ করেন, মিনার দাস নামে তাদের দুঃসম্পর্কের এক ফুফাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বসন্তর। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাবির কলাভবনের সামনে মিনার দাস ফোনে তার ভাইকে ডেকে নেন। এমন সময় মিনার দাসের স্বামী শান্তি মণ্ডল সেখানে উপস্থিত হন। তখন শান্তি মণ্ডল বসন্ত মণ্ডলকে মারধর করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সেখানে পুলিশ এলে বিষয়টি পারিবারিক বিষয় বলে সমঝোতা করে দেয়। তখন বসন্ত কুমারের স্ত্রী সুমি দাস তাকে শাহজাহানপুর গুলবাগের বাসায় নিয়ে যান।
হেমন্ত দাস আরও জানান, বাসায় রাত ১টার দিকে হঠাৎ তার বড় ভাই বসন্ত কুমার দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন দ্রুত তাকে খিদমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে মারা যান তিনি।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সেলিম শাহরিয়ার জীবন স্ট্যালিন জানান, মারধরের শিকার হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনাটি বিস্তারিত জানতে কাজ করছে পুলিশ।