নির্বাচনি ফল পালটে দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে তার শুনানি কমপক্ষে তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের আইনজীবীরা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতে এই অনুরোধ জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকে দায়ের করা ঐ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগনামায় মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করা থেকে কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া এবং ভোটারদের দেওয়া রায় থেকে তাদের বঞ্চিত করা।
মামলার কৌঁসুলিরা বলেছেন, সে সময় নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইচ্ছা করেই নিজের মিথ্যা দাবিকে সত্য বলে প্রচার করতে তত্কালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ শীর্ষ ফেডারেল কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলা চালাতে সমর্থকদের উসকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও পরাজিত প্রার্থী (ট্রাম্প) ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর তিনি এই বলে মিথ্যা ছড়িয়েছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন।’
এই মামলার বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন তানিয়া চুটকান। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে তার আদালতে হাজির হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীরা আবেদন জানান, যেন ট্রাম্পের এই মামলার শুনানি তিন বছর পিছিয়ে ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্ধারণ করা হয়। এই আবেদন গৃহীত হলে ট্রাম্পের এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনেরও প্রায় দুই বছর পর।
সেই নারীর ২২ বছরের কারাদণ্ড :এদিকে, ট্রাম্পকে বিষ মেশানো চিঠি পাঠানোর দায়ে এক নারীকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত এ দণ্ডাদেশ দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যাসকেল ফেরিয়ার নামে ৫৫ বছর বয়সি ঐ নারী ফ্রান্স ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেই সময় বিষাক্ত প্রোটিন-জাতীয় পদার্থ রিসিন মেশানো একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই অপরাধেই তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ফেরিয়ারকে অবৈধ জৈব অস্ত্র নিজের কাছে রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।