জাটকা রক্ষায় দুই মাসের অভয়াশ্রম শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় রবিবার মধ্য রাত থেকে নেমেছেন জেলেরা। নদীতে ইলিশ কম পাওয়া গেলেও দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ এক লাখ ৪ হাজার টাকা দরে। সোমবার দুপুরে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের এই পাইকারি আড়ত। মাছের বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
মাছ ব্যবসায়ী হাবিব ব্যাপারীর আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা মণ। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। তিনি বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। তবে ইলিশের আমদানি কম। অন্য প্রজাতির অর্থাৎ পোয়া, আইড়, চেওয়া, চিংড়ি গুঁড়া, পাঙাশ মাছের আমদানি শুরু হয়েছে।
মেসার্স মোখলেছ ভূঁইয়ার আড়তে একটি পাঙাশ মাছ উঠেছে যার ওজন ১৪ কেজি। এটির দাম উঠেছে ১৮হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। পাশের আড়তে আইড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা করে। পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি পাইকারি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন নদীর মোহনা, যমুনা রোড ও টিলাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে, রাতে যে জেলেরা নদীতে নেমেছেন তারা ঘাটে আসছেন মাছ বিক্রি করতে। আবার অনেক জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন। মাছ বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা নৌকাগুলো মাছঘাটের দক্ষিণে ডাকাতিয়ার পাড়ে ভিড়ছে। সেখান থেকে শ্রমিকরা টুরকিতে করে মাছ আড়তে ওঠাচ্ছেন। দুই মাস বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আবারও চাঁদপুর মত্স্যঘাট পূর্বের চেহারায় ফিরে যাবে বলে জানালেন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের গাজী। চাঁদপুর জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তছলিম ব্যাপারী বলেন, এ বছর প্রচুর পরিমাণে জাটকা ধরা হয়েছে। তবে এখন জেলেরা ইলিশ না পেলেও দেশীয় প্রজাতির মাছ পাবেন।