বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে প্রথম দুই টেস্টেই হেরে কোণঠাসা অস্ট্রেলিয়া। ভভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া শুধু হেরেছে তাই নয়, গড়তে পারেননি ন্যূনতম প্রতিরোধও। এমতাবস্থায় দল ছেড়ে দেশে ফিরে গেলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
দলের এমন অবস্থায় হুট করেই অধিনায়কের দেশে ফিরে যাওয়ায় শুরুতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেই জানানো হয় পরিবারের সদস্যের গুরুতর অসুস্থতার কারণেই জরুরীভাবে দেশে ফিরতে হয়েছে কামিন্সকে।
জরুরীভাবে দেশে ফিরলেও অবশ্য ১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টের আগে ফিরেও আসার কথা রয়েছে কামিন্সের।
যদি কোন কারণে তৃতীয় টেস্টে খেলতে না পারেন কামিন্স, তাহলে তার ডেপুটি স্টিভেন স্মিথ দলকে নেতৃত্ব দিবেন। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অ্যাডিলেডে হওয়া সর্বশেষ দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক স্মিথ।
নাগপুরে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৩২ রানে এবং দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত। দিল্লি টেস্ট জয়ের সাথে রেকর্ড চতুর্থবারের মত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি দখলে রাখা নিশ্চিত করেছে ভারত।
প্রথম দুই টেস্টে স্পিন বান্ধব উইকেটে দলের জন্য খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি কামিন্স। তবে সিরিজ ড্র করার ব্যাপারে এখনও আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন কামিন্স। টেস্ট শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ২৯ বছর বয়সী কামিন্স। আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, ইন্দোর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দলে ও একাদশে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন কামিন্স। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে দলে ফিরতে পারেন ক্যামেরুন গ্রিন, মিচেল স্টার্ক।
ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দিল্লি টেস্টে মাথায় আঘাত পেয়ে কনকাশন সাব হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বাঁহাতে কনুইয়ের ইনজুরিতে পড়েছেন ওয়ার্নার। ঐ টেস্টে ইনজুরিতে পড়েছেন স্পিনার টড মারফি। তৃতীয় টেস্টের আগে সময় থাকায় সুস্থ হয়ে উঠার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে সিরিজ শুরুর আগে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন লেগ স্পিনার মিচেল সুয়েপসন। তবে শীঘ্রই পুনরায় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সুয়েপসন।