ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ঢাবি’র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ‘২০ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধন হয়। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর(প্রশাসন) অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ সামাদ এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধন।
এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি ঘটনায় এই মহিয়সী নারীর অবদান ও ত্যাগ চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে ক্রিকেট, ফুটবলসহ ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।’
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জাতির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে।’
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসপিয়া সরকার শতাব্দী পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং রানার্স-আপ হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী পাপিয়া আকতার টুম্পা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখী এবং সাধারণ সম্পাদক সানজিনা ইয়াসমিন। উল্লেখ্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৭টি ইভেন্টে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথি, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেয়।