ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনে পুরোদমে চলছে প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণের কাজ। মিস্ত্রিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্টল মালিকরাও ভোর থেকে রাত পর্যন্ত স্টল নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছেন। ঠুক ঠাক শব্দে মেলা প্রাঙ্গণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দম ফেলার সুযোগ নেই তাদের। মেলার আশপাশের মানুষ স্টল নির্মাণকাজ পরিদর্শন করছে। আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গত বছরের ন্যায় এবারও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে স্থায়ী প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে হবে এই মেলা।
প্রথম দিন থেকেই মেলা জমিয়ে তুলতে চান ব্যবসায়ীরা। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১২টি দেশের ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৪২টি প্যাভিলিয়ন, ৩১টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৩৮টি জেনারেল স্টল, এবং ২৩টি খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবারের মতো এবারও মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা বিনা টিকিটে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। প্রদর্শনী কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইরান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ ১২টি দেশ বাণিজ্য মেলায় অংশ নেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সময় মতো স্টল বরাদ্দ দেওয়ায় নির্মাণকাজ যথাসময়ই শেষ হবে। এদিকে কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে ৩০০ ফুট মূল সড়কটির কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় আসতে দর্শনার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মেলায় যাতায়াতের সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এবারও দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে চালু করা হবে বিআরটিসির স্পেশাল সার্ভিস। এবার বাণিজ্য মেলা জমজমাট হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মি. বাইটের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার খোকন বলেন, স্টল নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার সুপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্য মেলার এবারের আসর বসবে। সময়মতো প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দ এবং ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে ওঠায় মেলা প্রাঙ্গণ এখনই সরগরম। এবার মুখরিত হয়ে উঠবে বাণিজ্য মেলা। সেভয় আইসক্রিমের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান মেলায় ২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একটি প্যাভিলিয়ন নিয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়। বেঙ্গল পলিমার প্যাভিলিয়নের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. এমরান হোসেন বলেন, প্যাভিলিয়নের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ চলছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি ইসহাক মিয়া বলেন, স্টল বরাদ্দ যথা সময়ে হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ করা যাচ্ছে।