চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল যেন এক নতুন অধ্যায়ই শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বধ! তাও কি না, নির্ধারিত ওভারের দুই ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটে বড় জয়। এই ম্যাচে ঝোড়ো ফিফটি করে বড় জয় পেতে সহায়তা করেছে নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সঙ্গ দিয়েছে বিপিএল থেকে এই ফরম্যাটে দলে জায়গা করে নেওয়া এবং এদিন জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া তৌহিদ হৃদয়। গেল বিপিএলে তারা দুই জনই খেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে।
এদিকে শান্ত সমালোচনার লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছেন তার ক্যারিয়ারে। এ ফরম্যাটে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে, হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সেটিতেও। এত দিন পর খেলতে নেমে গতকালও করলেন ফিফটি। এছাড়া ধারাবাহিক ভাবেই হাসছে তার ব্যাট। লিটনের মতো বর্তমানে তারো সমালোচনা কমেছে। ভক্তরা ভরসা রাখতে শুরু করেছে তার ওপর। গতকাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় ম্যাচ সেরা হন শান্ত। পরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও আসেন তিনি। এসে জানান বিপিএলের পরিকল্পনা ও মানসিকতা বাস্তবায়ন করেছে এ ম্যাচে। শান্ত বলেন, ‘আমরা যারাই খেলেছি আজকে… বিপিএলে যেভাবে ব্যাটিং করেছি বা যেই পরিকল্পনা ও মানসিকতা ছিল, সেটিই আজকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি, ও রকম ভিন্ন কিছু কেউই করতে চাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে নিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি ধারাবাহিক রান করেছি। একজন ব্যাটার হিসেবে যখন ধারাবাহিক রান করব ভিন্ন একটা আত্মবিশ্বাস তো থাকেই। খেলা সম্পর্কেও অনেক ধারণা আসে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি কীভাবে ইনিংস লম্বা করব। এ ব্যাপারে আমার ধারণা ভালো ছিল। সেটাই শুধু প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।’ এ সময় অভিষেক হওয়া তৌহিদ হৃদয়েরও প্রশংসা করেন শান্ত জানান, তৌহিদকে দেখেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তিনি। বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ হিসেবে ওর যে অ্যাপ্রোচটা ছিল, যে ইন্টেন্ট নিয়ে ও ব্যাটিং করেছে, ঐটা দেখেই আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। ওকে দেখে কখনো নার্ভাস মনে হয়নি, এ রকম একটা বড় দলের বিপক্ষে। আমাদের ঐ আত্মবিশ্বাসটা ছিল। কারণ বিপিএলে আমাদের কিছু বড় বড় জুটি ছিল। যখন ও এভাবে শুরু করেছে তখন আমরা শুধু স্বাভাবিক ব্যাটিং করছিলাম।’