রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল তারা। তারপরেও ফুটবলবোদ্ধারা গোনায় রাখেননি ক্রোয়েশিয়াকে। কিন্তু ক্রোয়েটরা ঠিকই সেমিফাইনাল অবধি এসেছে ব্রাজিলকে বিদায় করে। ক্রোয়েটদের নেতৃত্বে ছিলেন লুকা মডরিচ। ৩৭ বছরের মডরিচের এবারই শেষ বিশ্বকাপ। পরের বিশ্বকাপে খেলার প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালটি মডরিচের জন্য হয়ে থাকল একরাশ হতাশার।
লিওনেল মেসিকে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হারের স্বাদ নিতে হয়েছিল। কিন্তু মডরিচের দল সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপরাজিত ছিল। নিয়ম করে প্রতি ম্যাচেই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আক্রমণ শানিয়েছেন মডরিচ। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেননি ক্রোয়েট অধিনায়ক। মেসির দল এ রাতেই যে সেরা ছন্দে ছিল! প্রাণপণ চেষ্টা করেও মডরিচরা আর্জেন্টাইনদের আটকাতে পারেননি।
উলটো গতবারের প্রতিশোধ নিয়ে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এবার আলবিসেলেস্তারা সেটি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনভাবে হারতে হবে হয়তো ভাবেননি মডরিচ। দেশের জার্সিতে কোনো ট্রফি না জেতার আক্ষেপ থেকে গেল মডরিচের। ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা সুযোগ ছিল ক্রোয়েশিয়ার সামনে। সেই সুযোগ ক্রোয়েটরা লুফে নিতে পারেনি। যদিও ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়াই ক্রোয়েশিয়ার সেরা সাফল্য।
এবার ফাইনাল নয়, সেমিতে আর্জেন্টিনার সামনে পড়ে উড়ে গিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে বিষণ্নতায় প্রতিপক্ষ, সতীর্থদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মডরিচ। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব এবারও মিলল না। হয়তো আর কোনো দিনই মডরিচ দেশের হয়ে হিসাব মেলাতে পারবেন না। বয়সটা তো আর থেমে নেই! জীবনের বাকি সময়গুলো আক্ষেপই ঝরবে মডরিচের কণ্ঠে! বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খেতে পারতেন, কিন্তু পারেননি!