মাছ খেতে হলে কেটে বেছে রানতে ঝামেলা কিন্তু কম পোহাতে হয় না। আবার মাছ কাটার পর ধুতে গেলেই হাতে কাটা ফোটে। আর আঁশটে গন্ধ তো হয়ই। অনেকে এই গন্ধটা সহ্যও করতে পারেন না। তবে মাছ ধোয়ার সময় কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস গ্রহণেই বিরক্তিকর এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই:
- মাছ ধোয়ার সময় মাছে সামান্য লবণ ও হলুদ ব্যবহার করলে কিছু সময় রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- হাত না লাগিয়ে মাছ ধোয়ার জন্য কাটা মাছের টুকরা গুলোকে একটি বাটি বা বক্সে রেখে অল্প লবণ-হলুদ দিন। তারপর ভালো করে মুখটা বন্ধ করে হালকাভাবে ঝাঁকান। জোরে ঝাঁকালে মাছের টুকরা নরম হয়ে যাবে, ভেঙেও যেতে পারে। এভাবে মাছ ধুলে দেখবেন মাছের নোংরা পানি সহজে বের হয়ে আসবে।
- দু-তিনবার করে অল্প লবণ-হলুদ দিয়ে হালকাভাবে মাছগুলো বক্স বা বাটির ভেতরে ঝাঁকিয়ে নিন, প্রতিবার পানি দিয়ে ধুয়ে আবারো সামান্য হলুদ-লবণ দিন। বাটিতে পানি দিবেন না, দেখবেন লবণ-হলুদের সঙ্গে মাছ থেকে ময়লাসহ পানি বের হয়ে আসবে।
- একটি খোলা ঝাঁঝরিতে হালকাভাবে নেড়ে নেড়ে মাছের টুকরাগুলো ধুয়ে নিন। দেখবেন ঝাঁঝরির ফুটোর কারণে মাছ থেকে হাত ছাড়াই কেমন সুন্দর করে পানি ঝরিয়ে নিচ্ছে। ঝাঁঝরিতে রাখা টুকরাগুলো পানির নিচে রেখে ধুয়ে নিন। এতে মাছের পিচ্ছিল ভাবটা কমে যায়। ধোয়া শেষে মাছগুলো ঝাঁঝরিতেই রাখুন যেন পানি ঝরে যায়।
- বাজার থেকে মাছ এনেই চেষ্টা করুন ধুয়ে ফেলতে। এসব ঝক্কির কাজ একবারে করে নিতে পারলে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি বারবার এসব করতে গিয়ে মেজাজ খারাপের সুযোগ থাকে না। ছোট মাছের জন্য শুধু লবণ-হলুদ আর ঝাঁঝরি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
- মাছ ধোয়ার জন্য ওয়ানটাইম গ্লাভস ব্যাবহার করতে পারেন। আর তা না থাকলে হাতে জড়িয়ে নিতে পারেন পলিথিনের একটা প্যাকেট।