ভারতে এখন কোনো রাজ্যেই মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। তা সত্ত্বেও সাবধানতা অবলম্বন করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, সরকারকে আগাম সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
হাসপাতালগুলোকে সচেতন করতে হবে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে। অক্সিজেন কনসেনট্রেটরগুলো তৈরি রাখতে হবে, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকারের দাবি, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো দরকার নেই। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। চীনে যে প্রজাতির ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে, তা ভারতেও চারজন রোগীর শরীরে পাওয়া গিয়েছিল। নভেম্বর মাসে তারা আক্রান্ত হন। তারা বাড়িতেই চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মতে, সাবধানতা নিতে হবে। সেখানে ঢিলেমি দেওয়া ঠিক হবে না। কোভিডের দ্বিতীয় পর্যায়ের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি ‘বিএফ ডট৭’ প্রজাতির ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায়। তাই খুব বেশি মানুষ কম সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তবে বাড়িতে থেকেই অধিকাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে যাবেন।
কিন্তু যেহেতু অত্যন্ত দ্রুত এই ভাইরাস ছড়ায়, তাই কিছু মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকছে। সবচেয়ে আগে দরকার, কোভিড পরীক্ষা করা এবং করোনা হলে নিভৃতবাস করা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো চলা।
প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, সামনেই উৎসবের সময় আসছে। তখন জনবহুল জায়গায় গেলে মাস্ক পরা উচিত এবং অন্য কোভিড ব্যবহারবিধি মানা উচিত। বিশেষ করে বয়স্ক ও যাদের অন্য রোগ রয়েছে, তাদের বেশি সতর্কতা নেয়ার প্রয়োজন আছে।