যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উড়ন্ত বস্তু দিয়ে চীন গুপ্তচরবৃত্তি করছে—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এদিকে চীনা ইন্টারেনেট বেলুনটি নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ঠিক কে বা কারা বেলুনটি উড়িয়েছে তা নিয়ে। কারণ বেলুনটি বেসামরিক কোনো উৎস থেকে উড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেনি তারা। অন্যদিকে জাপানের আকাশে উড়ন্ত বস্তু দেখা গেছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়তে থাকা ও পরে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে ধ্বংস করা তিনটি রহস্যময় বস্তুর সঙ্গে চীনা গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্ক থাকার কোনো ইঙ্গিত আপাতত পাওয়া যায়নি। গবেষণাকাজে কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এগুলো ওড়ানো হয়ে থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রশাসন এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত হওয়া তিনটি রহস্যময় বস্তুর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি, উদ্ধার করতে পারেনি। উভয় দেশ রহস্যময় বস্তুর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিজেদের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়া রহস্যজনক বস্তুগুলো চীনা নজরদারি বেলুন ছিল বলে মনে করছে জাপান। বস্তুগুলোর তথ্য নতুন করে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এমন ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
- চীনা ইন্টারনেটে নানা জল্পনা
অনেকে সাম্প্রতিক বিভিন্ন আর্টিকেল দেখে কেমচায়না ঝুঝও রাবার রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট নামে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করছে, যারা এ ধরনের উচ্চতায় উড়তে সক্ষম বেলুন উৎপাদন করে। কিছু ব্লগার দাবি করেছেন যে, একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেমচায়না ঝুঝও বেলুনটি তৈরি করেছে। কিন্তু এটির সঙ্গে কোম্পানির সংযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রবিবার এই বিভ্রান্তি আরো জোরালো হয় যখন পূর্ব শানদং প্রদেশের উপকূলে একটি অজ্ঞাত বস্তু উড়ে যাওয়ার বিষয়ে দ্য পেপার নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মত্স্য কর্মকর্তারা স্থানীয় জেলেদের সতর্ক করে বলেছে যে, চীনা কর্তৃপক্ষ বস্তুটিকে গুলি করে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনটি চীনের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমও প্রকাশ করে, তবে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এবং সরকারি বিভাগগুলো এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে স্যাটেলাইটের চিত্রসহ লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অনলাইন বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে যে, এই সংবাদটি কেন আরো আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো না। -বিবিসি ও রয়টার্স