শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থায় স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির শেয়ার থাকার কথা স্বীকার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এর আগেই স্ত্রীকে ব্যাবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী সুনাকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পার্লামেন্টের কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস। গত ১৩ এপ্রিল তদন্ত শুরু করেন কমিশনার ডেনিয়ল গ্রিনবর্গ। কোরু কিডস নামে একটি সংস্থা রয়েছে অক্ষতার। মূলত, শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকে এই সংস্থাটি। গত মাসে বাজেট পেশ করার সময়ে এই ধরনের সংস্থাগুলোর জন্য আলাদা প্রকল্প ঘোষণা করেন সুনাক। শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টিই লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রী সুনাকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে ব্যবসায় সুবিধা পাইয়ে দিতে নতুন বাজেট নীতি প্রণয়ন করার অভিযোগ উঠেছে। চার বছর আগে অক্ষতা কোরু কিডসে বিনিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রী সুনাক জানিয়েছেন, কোরু কিডসে তার শেয়ারের অংশ খুবই সামান্য।
এর আগে সুনাকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। পার্লামেন্টের কোনো সদস্য আচরণ বিধি সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা নিয়ে তদন্ত করে কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস। দোষী প্রমাণিত হলে সুনাকের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও ক্ষমতা রয়েছে এই কমিটির। সুনাকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে কেবল ক্ষমা চাইলেই হবে না। পদও হারাতে হতে পারে তাকে। দোষী প্রমাণিত হলে সুনাকের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও ক্ষমতা রয়েছে পার্লামেন্টের তদন্তকারী ঐ কমিটির। শুধু তাই নয়, সুনাকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য, পার্লামেন্টারি এই তদন্ত ঋষি সুনাকের জন্য বিব্রতকর। গত বছর অক্টোবরেই সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা বজায় রেখে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনার মাঝে সুনাক দলের ভাগ্যও ফেরানোর চেষ্টা নিয়েছিলেন। —দ্য গার্ডিয়ান