প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি প্রতিবাদে আজ (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগ এক মানব বন্দন কর্মসূচি পালিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, গোয়েবলসের থিওরি অনুসারে যারা মিথ্যাচার এবং প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অশুভ পাঁয়তারা করছে অনতিবিলম্বে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং অব্যর্থ যুক্তি, ক্ষুরধার লেখনী, বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার সহিত সমুদয় মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার সমুচিত জবাব দিতে হবে।
সাবেক ছাত্রনেতা, ফিকামলি তত্ত্বের জনক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনাকে মোকাবলা করতে না পেরে বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আাসার নীল নকশা করছে, ৭৫ এর মত আরেকটি কালো অধ্যায়ের ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার শরীরে একটা ফুলের আঁচড় ও লাগতে দেওয়া হবে না। তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে আমরা সদা প্রস্তুত আছি। বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি, জীবনের বিনিময় হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের কালো ধাবা থেকে রক্ষা করবোই করবো। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা মাঠে নামলে ষড়যন্ত্রকারীদের বাংলার মাটিতে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ড. আবদুল ওয়াদুদ আরো বলেন, জ্বালাও পোড়াও অগ্নি সংযোগের কারণে বিএনপি’র রাজনীতির ইতিমধ্যে কবর রচনা হয়ে গেছে। পঁচাত্তরের খন্দকার মোশতাক গংরা যেভাবে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন যুগিয়েছিল, ঠিক একইভাবে ২০২৩ এ এসে মোশতাকের প্রেতাত্মারা বাংলার মাটিতে পচাত্তরের ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন, বাংলাদেশবিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আপামর জনসাধারণ সদা প্রস্তুত এবং জাতীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো অশুভ ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিবে। উন্নয়নের এই মাহেন্দ্রক্ষণে বিএনপিসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের উচিত, নিজেদের সংশোধন করে, প্রতিহিংসার রাজনীতি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসা। ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য তিনি দেশপ্রেমিক জনগণকে আহব্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ব ম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অজিত রায়, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহমুদ হাসান রুবেল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম অহিদুজ্জামান মিন্টু, নির্মল বিশ্বাস, তপন কুমার সহ অনেক নেতৃবৃন্দ।