সাভার পৌরসভাসহ উপজেলার সর্বত্র বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এদের উৎপাতে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হয়। দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব বেওয়ারিশ কুকুর। এক সময় কুকুরের উৎপাত বন্ধে পৌরসভা কিংবা স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিধন করত। কিন্তু উচ্চ আদালত ২০১২ সালে এ ধরনের জীব মেরে ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ রয়েছে তাও বিগত বছরগুলোতে কার্যকর করা যায়নি। সাভার পৌরসভার গেন্ডা মহল্লার আরমান হোসেন বলেন, ৮/১০টি করে কুকুর একত্রে দল বেঁধে ঘুরাফেরা করে। রাস্তাঘাটে কুকুরের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে পথচারীদের দেখে ঘেউ ঘেউ করে কামড়াতে আসে। যেখানে সেখানে কুকুরের অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য এখন বেওয়ারিশ কুকুর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটে এমনকি বাসা বাড়ির সামনে যত্রতত্র অসংখ্য কুকুর দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়। এতে আতঙ্কে পথ চলতে হয়। অন্য দিকে অনেক রোগাক্রান্ত কুকুর ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে বসে থাকে। এমনকি খাদ্যদ্রব্যে মুখ দেয়, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর বিপজ্জনক হলেও সঠিক ব্যবস্থা থাকলে প্রাণহানি বা ক্ষতির শঙ্কা কমানো সম্ভব। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের ঝুঁকি রোধে কুকুরের শরীরে টিকা দেওয়া যেতে পারে।