বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে নেই ‘ডিআরএস’। তাই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এডিআরএস। তবে এতে থেমে নেই আলোচনা উলটো বাড়ছে আরো বিতর্ক। এছাড়া এডিআরএসের ব্যবহারে খুশি নন খেলোয়াড়রা। এ নিয়ে গতকাল ম্যাচ শেষে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক তো বলেই ফেললেন এডিআরএস না থাকলেই ভালো হতো।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর রাইডার্স এবং ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে বরিশাল জয় পেলেও ছিল এডিআরএস বিতর্ক। রংপুর রাইডার্সের দেওয়া লক্ষ্য তারা করতে নেমে ফরচুন বরিশালের ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের ক্ষেত্রে এডিআরএসে এসেছে বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত। সিকান্দার রাজার ডেলিভারি লেগ স্টাম্পের বাইরে চলে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে যেহেতু প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই, তাই পুরো নিশ্চিত হওয়ারও সুযোগ ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ার অনুমাননির্ভর সিদ্ধান্তে জানান—আউট! এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছাড়েন বিজয়। চলমান আসরে এডিআরএস নিয়ে নাটক এবার এই প্রথম নয়।
পরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হয় ডিআরএস ব্যবহার করা উচিত, তা না হলে এই এডিআরএস ছাড়াই খেলা পরিচালনা করা উচিত। তবে (এডিআরএস) না থাকলেই ভালো।’
সোহান বলেন, ‘এডিআরএসের কারণে আম্পায়াররাও মাঠে অনেক বেশি চাপে পড়ে যাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গভাবে ডিআরএস থাকলে তাদের জন্যও সুবিধা হয়। সবাই তো মানুষ। তাদেরও মাঠের ভেতরে একটা-দুইটা ভুল হতে পারে।’
এদিকে আউট হওয়ার পর মাঠ ছাড়ছিলেন না এনামুল হক বিজয়। আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছিল তিনি। এ প্রসঙ্গে সোহান বলেন, ‘কী কথা হচ্ছিল… আমি ওখানে ছিলাম না। আমরা তখন উদযাপন করছিলাম। যখন আম্পায়ার মাঠে আউট দেবেন, হয়তো ব্যাটার অনেক সময় চিন্তা করে কীভাবে আউট হলো বা কী হলো। ওর আম্পায়ারের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল, জানি না। কারণ মাঠের অন্য প্রান্তে ছিলাম।’
এদিকে আউট হয়ে মাঠ না ছাড়ার বিষয়টি এবারই প্রথম নয়। এর আগে ঢাকা ডমিনেটরসের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। প্রথমে আউট দিলেও মাঠ না ছেড়ে কিছুক্ষণ পর তিনি নট আউটও হন। তবে বিজয়ের বেলায় তা ঘটেনি।