স্কটল্যান্ডের আদালত একটি ধর্ষণের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে।
আদালত জানিয়েছে, ট্রান্সজেন্ডারদের কোন জেলে পাঠানো হবে তা মূল্যায়ন করতে হবে। মূল্যায়নের আগে কোনোভাবেই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের নারীদের কারাগারে পাঠানো যাবে না। তাদের থাকতে হবে পুরুষদের জেলেই। মূল্যায়নের সময় দেখতে হবে ওই ট্রান্সজেন্ডার কখনো কোনো নারীর সঙ্গে অবমাননাকর ঘটনা ঘটিয়েছিল কি না। এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে।
আদালতের এই নির্দেশের অর্থ, কোনো ট্রান্সজেন্ডার গ্রেপ্তার হলে প্রথমে তাকে পুরুষদের জেলেই যেতে হবে। মূল্যায়নের পর প্রয়োজনে কোনো কোনো ট্রান্সজেন্ডারকে নারীদের জেলে পাঠানো হলেও হতে পারে।
বস্তুত, সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের আদালতে একটি মামলা উঠেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে দুইবার দুই নারীকে ধর্ষণ করেছিল। আদালতকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, সে লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সে পুরুষ থেকে নারী হচ্ছে। ফলে তাকে নারীদের জেলে যেন পাঠানো হয়।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নারীদের জেলে পাঠানো নিয়ে সমাজের ভিতরেও তীব্র আলোড়ন ওঠে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। জাস্টিস সেক্রেটারি কেথ ব্রাউন রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ”ট্রান্স নারী মাত্রই মেয়েদের প্রতি থ্রেট, এমন কথা আমরা বলছি না। কিন্তু কোনো পুরুষ নারীদের সঙ্গে অন্যায় করার পর যদি নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে, তা হলে ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, লিঙ্গপরিবর্তনকামী কোনো ব্যক্তিকে পুরুষদের জেলে পাঠালে তার উপর ভয়ংকর অত্যাচার হতে পারে। একথাও মাথায় রাখতে হবে