ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরে ধর্মঘটের কারণে গত ১৩ দিন ধরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ১১ দিন পর ভারতের পাথর আসতে শুরু করেছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারতের ফুলবাড়ী বন্দরে ধর্মঘটের কারণে ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ২২ জুলাই থেকে ১১ দিন পর ভারতের পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে এ বন্দরে ১৫৯ ট্রাক পাথর প্রবেশ করেছে। তবে ১৩ দিন ধরে ভুটান থেকে আসেনি। তবে বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি পাথরের ওপর নির্ভরশীল। এ বন্দরে অন্য সব পণ্য আমদানি-রপ্তানির তুলনায় পাথর আমদানিই হয় বেশি। কয়েক দিন পর আবার ভারত থেকে পাথর আসতে শুরু করেছে। তবে ভুটানের পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাবান্ধা কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভারতে ধর্মঘটের কারণে টানা কয়েক দিন পাথর আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকাল থেকে পাথর আসা শুরু হয়েছে। তবে ভুটানের পাথর এখনো আসেনি। এ ক্ষেত্রে ভুটানের সঙ্গে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা সমস্যা সমাধানে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, পাথর আসা শুরু হয়েছে। ভারতের ফুলবাড়ীতে স্লট বুকিংয়ের নামে রপ্তানিযোগ্য পাথরের ট্রাক থেকে আকার ভেদে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে সেখানকার ট্রাক মালিকেরা পাথর পাঠানো বন্ধ রেখেছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্লট বুকিংয়ের নামে প্রতি ট্রাকে ৩-৫ হাজার টাকা আদায় করার প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করে ফুলবাড়ী বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, ভুটানের পাথরবাহী ট্রাক থেকেও টাকা আদায় করতে হবে।