বিএনপির পদযাত্রায় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়াতে চোরা গুপ্তা হামলা চালিয়ে ১২টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এ সময় তারা আরও অন্তত ১০ দোকান ভাঙচুর ও মালামালসহ নগদ টাকা লুট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতক্ষ্যদশী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল ও সিএনজি নিয়ে পাইকপাড়া এলাকায় একত্রিত হয়ে অতর্কিতে হামলা শুরু করে। এ সময় ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অন্তত ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ও অন্তত ১০টি দোকোনে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘঠে। ঘটনা ঘটার পর পরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ পেয়ে সিরাজগঞ্জ ২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাসসহ আওয়ামী লীগ নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে দাবি ও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাস জানান, বিএনপির পদযাত্রার নামে যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের এই অপকর্ম বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর জানান, পদযাত্রার সময় বিএনপির মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা পাইকপাড়াতে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ন কবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছের বাড়িসহ অন্য নেতার বাড়ি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও গবাদিপশুসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে ।