সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণশ্রমিক ওসমান মিয়াকে (১৭) তারই বড় ভাইয়ের সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় খুনিরা। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের সহকর্মীরা নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের চতুর্থতলা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও নিহতের পিতাকে জানিয়েছিলেন। তবে ঐ সময় এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বড় ভাই স্বপন মিয়া প্রাণের ভয়ে তাৎক্ষণিক তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এ কথা বলতে পারেননি।
গত ৮ জুলাই রাত ১০টার দিকে মিজমিজি পাইনাদি নতুন মহল্লা টি-টাওয়ারে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ঐ ভবনের সাবকন্ট্রাক্টর রিপন মিয়া ২ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফার চেষ্টা করেন। এতে নিহতের পিতা রাজি না হয়ে গত ৯ জুলাই লাশ নিয়ে চলে যান।
নিহত ওসমান মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার কৃষ্ণনগর নোয়াগাঁও এলাকার নেয়াজ মিয়ার ছেলে। এদিকে নিহতের বড় ভাই স্বপন মিয়া পরে নিরাপদ স্থানে গিয়ে স্বজনদের জানান তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য জেনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে নিহতের পিতা হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি ঘটনার ১০ দিন পর গত ১৮ জুলাই ৯ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলি আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে একই এলাকার মতি মিয়ার ছেলে সাইদুল, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জহিরুল, বিলাত মিয়ার ছেলে রিপন ও খোকন, ইছু মিয়ার ছেলে শিপন, আঞ্জু উল্লাহর ছেলে মনু মিয়া, ভবন মালিক রহমান, আক্তার ও তোফাজ্জল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম।