এ বছরই ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নভেম্বর-ডিসেম্বরের বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ সিরিজটাকে নিজেদের জন্য ‘পরীক্ষা’ হিসেবে দেখছে সফরকারী ইংল্যান্ড। আর বাংলাদেশের জন্য? বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজটাকে দেখছেন ‘নিজেদের বাজিয়ে দেখার সুযোগ’ হিসেবে। হাথুরুসিংহের এই কথার মাহাত্ম্যটা লুকিয়ে আছে অন্য একটা বিষয়ে।
এক দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এমনিতেই সমীহ জাগানিয়া দল। বিশেষ করে নিজেদের ঘরের মাঠে তামিম ইকবালের বাংলাদেশ যেন বর্তমানে অপ্রতিরোধ্য। ঘরের মাঠে সর্বশেষ সাতটি ওয়ানডে সিরিজই জিতেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সেই ধারা ধরে রাখার পণ নিয়েই নামবেন তামিমরা। কোচ হাথুরুসিংহেও তেমনটাই চাইছেন। কিন্তু তিনি এটাও মনে করছেন, ঘরের মাঠে নিজেদের ভালো দল হিসেবে প্রমাণের দারুণ একটা সুযোগ ইংল্যান্ড সিরিজ।
ইংল্যান্ড বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। পাশাপাশি কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস জুটিতে টেস্টেও বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে ইংল্যান্ড। সব মিলে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ইংলিশরা এখন অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছে। কোচ হাথুরুসিংহে তাই প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ‘বিস্ময়কর দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও অনেকটাই দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে ইংলিশরা। কারণ, তাদের একটা দল নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলছে। টেস্টের দল থেকে হয়তো অনেকেই বাংলাদেশ সিরিজের শেষ দিকে দলে যোগ দেবেন। তবে জস বাটলারের নেতৃত্বে যে দলটি বাংলাদেশে এসেছে, সেটিও যথেষ্টই শক্তিশালী। বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের সমন্বয়েই গড়া। এর কারণ, ইংল্যান্ড দলের গভীরতা এখন অনেক। দলে বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি। হাথুরুসিংহে বিদায় নেওয়ার আগে বাংলাদেশ দলেও এমন গভীরতা তৈরি করে যেতে চান। তবে সেটা ভবিষ্যতের স্বপ্ন। আজ থেকে শুরু হওয়া সিরিজ নিয়ে তার কথা, ‘নিজেদের অবস্থানটা বোঝার জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ। এমন একটা দলের বিপক্ষে এই কন্ডিশনে খেললে নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’ কোচ হাথুরুসিংহের মতে, সিরিজে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জটা হবে ইংলিশদের দুরন্ত পেস বোলিং। তবে হাথুরু খুশি, বাংলাদেশ দল পূর্ণ শক্তি নিয়েই ভয়ংকর ইংলিশদের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারছে।