চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অল ইতালি সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আজ মুখোমুখি হচ্ছে মিলানের দুই চির প্রতিপক্ষ এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। বিগত ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সান সিরোতে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হবে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী। ইতালি ছাপিয়ে ঐতিহ্যবাহী মিলান ডার্বির ঝাঁজ এবার ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায় ইউরোপজুড়ে।
সবশেষ ২০০৪-০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো মিলানের দুই জায়ান্ট। কিন্তু দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের সমর্থকরা মাঠে আগুনের গোলা নিক্ষেপ করায় ফলাফল এসি মিলানের দিকে চলে যায়। তবে এবার সবাই আশা করছে শান্তিময় পরিবেশে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সবার নজর থাকবে ফুটবলের প্রতি। যদিও দুই দলই জয় ছাড়া অন্য কিছুই চাইছে না। বিশেষ করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করার জন্য। এ জন্য সিরি’আর উপর নির্ভর করতে হবেনা ফাইনালিস্ট দলকে।
গত সপ্তাহে নাপোলি স্কুদেত্তো নিশ্চত করার পর শনিবার শীর্ষ চারের দল লাজিওকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছে এসি মিলান। ওই জয়ে দলের অপরাজিত থাকার ধারাকে পৌঁছে দিয়েছে নয় ম্যাচে। যেখানে চার ম্যাচে জয় এবং পাঁচ ম্যাচে ড্র করেছে ক্লাবটি। সেই সঙ্গে ঘরোয়া লিগের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের সঙ্গে দুই পয়েন্টের ব্যবধানে চলে এসেছে এসি মিলান।
চলতি মৌসুমে ট্রফি খরা থেকে মুক্তি পেতে হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করার কোন বিকল্প নেই এসি মিলানের। সর্বশেষ ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি। যদিও এর আগে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচেই ইন্টারের কাছে হেরেছে স্টেফানো পিওলির শিষ্যরা, গোল পায়নি একটিও। ফলে মানসিকতার দিক থেকে খাদের কিনারায় চলে গেছে তারা।
একই দিন সিরি’আর আরেক ম্যাচে ফেদেরিকো ডিমারকো ও রোমেলু লুকাকুর গোলে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে নেরাজ্জুরিরা। সবগুলো ম্যাচেই তারা একাধিক গোলে জিতেছ। যে কারণে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চেলসির পেছনে থেকে ই’ গ্রুপের রানারআপ হিসেবে নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল এসি মিলান। ২০১৪/১৫ মৌসুমের পর প্রথম ইউরো আসরের এমন উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছিল ক্লাবটি। এরপর নকআউট পর্বে টটেনহ্যাম ও কোয়ার্টার ফাইনালে নাপোলিকে হারিয়ে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পিওলির শিষ্যরা, যা ছিল তাদের প্রত্যাশারও বাইরে। ২০০৬/০৭ মৌসুমের পর প্রথম সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এসি মিলান।
এদিকে ইন্টার মিলানও সি’ গ্রুপ থেকে বায়ার্ন মিউনিখের পেছনে থেকে রানার আপ হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে। ২০১১/১২ মৌসুমের পর এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাবটির প্রথম নকআউট। নকআউটে উঠে আরো সাবলীল হয়ে উঠে ইনজাগির শিষ্যরা। নকআউট পর্বে প্রথমে প্রিমেরা লিগের পাওয়ার হাউজ বেনফিকা এবং পরে পোর্তোকে হারিয়ে ২০১০ সালের পর প্রথমবার সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইন্টার।