যাদের জিপিএ ভালো না, নানা প্রতিবন্ধকতা, সীমাবদ্ধতার কারণে জিপিএ-৫ পেতে ব্যর্থ হয়েছেন—হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক হয়েছে এবার ঘুরে দাঁড়ান—কোথায় ঘাটতি আছে দেখেন, পূরণ করেন, নির্দিষ্ট টার্গেট ঠিক করেন এবং ঐ নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যান। সফল হবেনই হবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ আল্লাহ নিজেই আল কোরআনে বলেছেন, আমি কখনো কারো কষ্টের প্রতিফল নষ্ট করি না। আপনি যেমনি কষ্ট করবেন তেমনি ফল পাবেন। যেমন তাইমুর পরপর দুইবার এসএসসিতে অকৃতকার্য হয়েও ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। আমরাও তাইমুরের মতো ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব জয় করতে পারি। জীবন এবং কর্মজীবনে সাফল্য শুধুমাত্র জিপিএ দ্বারা নির্ধারিত হয় না। নেটওয়ার্কিং, কাজের নীতি, স্থিতিস্থাপকতা এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ক্ষমতার মতো অন্যান্য কারণও একজন ব্যক্তির অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যদিও জিপিএ একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের জন্য একটি প্রয়োজনীয় মানদণ্ড, তবু এটিকে একজন শিক্ষার্থীর সক্ষমতার ও দক্ষতার একমাত্র পরিমাপক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। একজন ব্যক্তির সামগ্রিক সম্ভাবনা এবং প্রতিভা মূল্যায়ন করার সময় অন্যান্য কারণ যেমন ব্যক্তিগত শক্তি, আগ্রহ, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং বাস্তব-বিশ্বের দক্ষতাগুলিকে স্বীকার করা এবং প্রশংসা করা উচিত।
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়