বাবা বিএনপির ওয়ার্ড সহসভাপতি। অন্যদিকে ছেলে একই ওয়ার্ডের (মহানগর উত্তরের আওতাধীন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মো. সবুজ মিয়ার বাবার নামে রয়েছে বিএনপির হয়ে চালানো নাশকতার মামলা। এই বিষয় নিয়ে খিলক্ষেত এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এক নেতা জানান, আমরা আসলে অসহায়। চলছে হাইব্রিডের যুগ। সবুজ মিয়ার বাবা বিএনপির একই ওয়ার্ডের সক্রিয় নেতা। তার ছেলে যদি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়, এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু নেই।
অভিযুক্ত মো. সবুজ মিয়া জানান, যে গিয়াস উদ্দিনের নামে মামলা হয়েছে তিনি তার বাবা নয়। তার বাবার নাম রমিজ উদ্দিন। এ ছাড়া নাশকতার মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় যে নাম দেওয়া আছে সেখানে গিয়াসউদ্দিনের বাবার নাম দেওয়া আছে মতি মিয়া। তবে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে তার বাবার যে ছবি পাওয়া গেছে সেটা তার বাবা বলে জানিয়েছেন সবুজ। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানাবে বলে ফোন রেখে দেয় এবং আর ফোন রিসিভ করেনি।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান জানান, আমরা কয়েকজনের নামে এ রকম অভিযোগ পেয়েছি। যারা বিতর্কিত, হাইব্রিড বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জড়িত তাদের নাম আমরা পাঠাব না।