কক্সবাজারের রামুতে পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকায় মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আনা গরু জব্দের জেরে চোরাকারবারিদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গরুটানা শ্রমিক আবদুল জব্বার (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বিজিবির ৮ সদস্য।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পূর্ব কাউয়ারখোপ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল জব্বার জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। র্যাবের দাবি, তিনি গরু চোরাকারবারি।
জানা যায়, বিজিবির নিয়মিত টহল দল খবর পায় রামু কাউয়ারখোপ বাজারের পূর্বপাশের বার্মিজ চোরাইপথের গরু পাচার হচ্ছে। যেগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে আনা। দলটি গিয়ে সেগুলো জব্দ করে। জব্দকৃত গরুগুলো নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাটালিয়ন সদরে নিতে চাইলে বাঁধা দেয় চোরাকারবারীর দল।একপর্যায়ে চোরাকারবারী দলের সদস্য আবদুল জাব্বারের সঙ্গে আশপাশের তাদের স্বজনরাও যোগ দেয়। প্রায় ৩ শতাধিক লোক বিজিবিকে হেনাস্থা করতে থাকে। একপর্যায়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বিজিবির ওপর। চোরাকারবারিরা আরও উত্তেজনা হলে বিজিবি আত্ম রক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এতে এক গরু চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ওই শ্রমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, একটি টহল দলের ওপর চোরাকারবারীরা হামলা চালালে টহল দলের ৮ জন আহত হন। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। লাশটি নাইক্ষ্যংছড়িতে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় রামু থানায় মামলা হবে।