রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল


ঈদের মাসে চাঙ্গাভাব ফিরেছে রেমিট্যান্সে। চলতি মাসের ২৫ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২০২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৫৮ শতাংশ বেশি। এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায়ও রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ অনেক বেশি। রেমিট্যান্সে চাঙ্গাভাবের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের ৫২ কোটি ডলারও সোমবার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মাঝে যা ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে থেমে থেমে ডলারের দর বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ডলারের দর ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি রপ্তানি বিল কেনার দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল কেনার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। এখন থেকে কোনো ব্যাংক ডলারে ১০৯ টাকার বেশি দর নিতে পারবে না। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডলার কেনা ও বিক্রির একক দর বা সিংগেল রেট কার্যকরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে ১ জুলাই থেকে একক দর কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল।

ডলারের দর হু হু করে বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকগুলো কেনা ও বিক্রির সর্বোচ্চ দর ঠিক করে দিচ্ছে। যদিও অনেক ব্যাংক নির্ধারিত দরের বেশিতে ডলার কিনছে। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে কয়েক দফা সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ গত ২১ মে বিএফআইইউ সাতটি ব্যাংকের রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করে। এরপরও এখনো অনেক ব্যাংক নির্ধারিত দর মানছে না। কোনো কোনো ব্যাংক প্রবাসীদের পাঠানো ডলার কিনতে ১১৩ টাকা পর্যন্ত দর দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

ব্যাংক সূত্র বলছে, ঈদ ও রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এমনিতেই বাড়ে। তবে গত ঈদুল ফিতরের আগে এপ্রিল মাসে মাত্র ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। মে মাসে আসে ১৬৯ কোটি ডলার। অথচ আগের বছরের এপ্রিলে যেখানে ২০২ কোটি এবং মে মাসে ১৮৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। অর্থাত্ এ বছর রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪০ কোটি ডলার বা ১.৯০ শতাংশ।

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাজারে সংকট কাটাতে চলতি অর্থবছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে বিক্রি করা হয় ৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে মোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছর বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭৬২ কোটি ডলার; যা ছিল ঐ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে।





Source link: https://www.ittefaq.com.bd/650021/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A9%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2

Sponsors

spot_img

Latest

How Cardano Looks to Incentivize Contributors on Governance Actions

Cardano is moving towards its final stage, Voltaire, with unwavering determination.  Voltaire will allow anyone on...

Investors: DON’T Get Fooled by This Suckers Rally

The S&P 500 (SPY) seems to be breaking out into bull market territory above 4,200. However, history...

Biden aides wave off excitement over China’s Middle East deal

That display of nonchalance also suggests that the administration is eager to stave off concerns that China is eroding America’s global influence at...

Abortion opponents’ next fight is with GOP lawmakers

At the same time, these disagreements threaten to further fragment the anti-abortion movement, which was unified for nearly 50 years over the goal...