আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে সেই প্রথম দেখায় দুঃসহ স্মৃতির কথাই যেন মনে পড়ে গিয়েছিলো শুরুতেই। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার জাকির হাসানকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন অভিষিক্ত আফগান পেসার নিজাত মাসুদ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করেন মাহমুদুদল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। জয়ের দায়িত্বশীল ইনিংস আর শান্তর ওয়ানডে মেজাজের ফিফটিতে লাঞ্চের আগে ১ উইকেটেই ১১৬ রান তুলে ফেলেছে টাইগাররা।
আজ মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগার বাহিনী। মাত্র ৬ রানেই ওপেনার জাকির হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়কে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার কাজটি করেন শান্ত। পরে শান্ত চড়াও হন আফগান বোলারদের ওপর। ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিঙ্গে তুলে নেনে নিজের ফিফটি। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থিরভাবে শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন জয়। লাঞ্চে যাওয়ার আগে শান্ত অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে আর জয় ব্যাট করছেন ৩৮ রান নিয়ে।
বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আফগানদের হয়ে অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদের করা প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১ রানেই ফিরে যান জাকির। আফগানদের সাফল্য বলতে ঐ পর্যন্তই। এরপর বাকি সময়টা টাইগারদের হয়ে মাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছেন শান্ত-জয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শান্ত এবার যেন টেস্টেও টেনে নিয়ে আসলেন নিজের ব্যাটের ধার। আফগান বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে উল্টো চড়াও হয়েছেন তাদের উপরেই। ব্যাট চালিয়েছেন ওয়ানডে স্টাইলে।
আফগান বোলারদের শাসন করে শান্ত তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। আর তাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে অনেকটা ধীরস্থির খেলেছেন জয়। লাঞ্চে যাওয়ার আগে দুজন মিলে গড়েছেন ১১০ রানের জুটি। শান্ত অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে আরর জয় ৩৮ রানে। এই দুজনের ওপর ভর করেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।