শরীয়তপুরের জাজিরায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পদ্মার শাখা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর আয়তন দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ড্রেজার দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে বালু ফেলার জন্য মহাসড়কের নীচ দিয়ে ছিদ্র করে পাইপ নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে যেমন চলাচলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে তেমনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাজিরায় বড়কান্দি ইউনিয়নের চৌকিদার কান্দি এলাকার কাজীর হাট-মাঝিরঘাট মহাসড়কের পাশে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের বরাত দিয়ে জানা যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক পাংকুর মদতেই চলছে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ।
তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নদী থেকে বালু তোলার জন্য সরকারিভাবে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, অনেক দিন যাবত ছাত্রলীগ নেতা পাংকুর নাম ব্যবহার করে নদীতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে এমনটাই জানি। তবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক পাংকুর কথা বলে হুমকি দেওয়া হয় এবং এই বালু সরকারি ব্রিজে দেওয়া হচ্ছে এ কথা বলে জানায়।
বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে ড্রেজার ব্যবসায়ী নাসির মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ড্রেজারটি আমার এটা সত্য। কিন্তু আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক পাংকু। সে সব কিছু জানে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক পাংকুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ অভিযোগের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল জানান, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।