বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ। অভিনয়ের পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রায়ই আলোচিত-সমালোচিত হন। তবে সত্য কথা বলতে পিছুপা হন না এই অভিনেতা। কদিন আগে তাজমহল নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। এবার তার কথায় উঠে এলো ‘সিনেমা হল’ ও ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম’।
অভিনেতা জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে সিনেমা হল বলে আর কিছু থাকবে না। ওটিটিই ভবিষ্যৎ। আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব। আমার তো মনে হচ্ছে গোটা বিশ্ব থেকেই শিগগিরই এই সিনেমা হল বিষয়টাই উঠে যেতে চলেছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এটা হবেই, তখন কোনও সিনেমা হল থাকবে না আর। তখন মানুষ একা ঘরে বসে সিনেমা দেখবে। আমি যদিও জানি না সেটা ভালো না মন্দ।’
বিগত কয়েক বছরে নাসিরউদ্দিন শাহ একাধিক ওটিটি প্রজেক্টে কাজ করেছেন, যেমন ব্যান্ডিটস, মডার্ন লাভ: মুম্বাই ইত্যাদি। এছাড়া তাকে গেহেরাইয়ান, কুত্তে ইত্যাদি ছবিতেও দেখা গিয়েছে। আগামীতে জি ফাইভের সিরিজ তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাডে দেখা যেতে চলেছে তাকে।
তবে কেবল ওটিটি নয়, এই অভিনেতা সম্প্রতি তার সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ ভারতীয় ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানালেন, কেন এগুলো হিন্দি ছবির তুলনায় বক্স অফিসে এত ভালো চলছে। সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টই জানান যে তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম সহ সমস্ত দক্ষিণী ছবির যে কনটেন্ট সেটা টোকা নয়, বরং অরিজিন্যাল আর প্রতিটা ছবিতেই অভিনবত্ব, নতুন ভাবনা মিশে আছে। হিন্দি ছবিতে সেটা নেই।
গত কয়েক বছরে কান্তারা, কেজিএফ ২, আরআরআর, পুষ্পা ইত্যাদি ছবিগুলো অসমুদ্রহিমাচল দাপিয়ে ব্যবসা করেছে। শুধু ব্যবসা করেনি, অক্ষয় কুমার, আমির খান, রণবীর কাপুর, রণবীর সিংয়ের মতো তারকাদের ছবিগুলোকে রীতিমত টেক্কা দিয়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। যদিও ২০২৩ এর শুরুটা ‘পাঠান’ ছবির হাত ধরে বলিউডের ভালোই হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্বাদের (ভাবনা) নিরিখে হয়তো অত ভালো নয় দক্ষিণী ছবি। কিন্তু পর্দায় সেই ভাবনা ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এতটুকু খামতি থাকে না। নিখুঁত কাজ দেখা যায়।’