গতকাল অরণ্য আনোয়ারের পরিচালনায় ‘মা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি কান উৎসবের বাণিজ্যিক প্রদর্শনীতে ভিনদেশি দর্শকদের ভেতরে দারুণ কৌতূহলও তৈরি করেছে। নিজের অভিনীত চলচ্চিত্র ‘মা’ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী পরীমনি। লিখেছেন তারিফ সৈয়দ
মা’ ছবিটির অভিজ্ঞতা শুনতে চাই—
মা ছবিটি নিয়ে কী বলবো। আমি মনে করি, একজন শিল্পীর বয়স ও জীবনের সাথে সাথে যেমন তার নানা গল্প বদলায়, অভিনয় জীবনও তাই। আমার সেলুলয়েড জীবনটাও তেমন। যেদিন অরণ্য দাদা আমার সাথে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসলেন সেদিন একবাক্যে আমি রাজি হয়ে যাই। অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, না, না করিস না! এখনই মায়ের চরিত্র করলে পরে আর নায়িকা হতে পারবি না! আমি কারও কথাই শুনিনি। নিজের মনে হয়েছে ছবিটি আমার জীবনের জন্য করা দরকার।
ছবিটি তো ‘কান’ উৎসবে গেল। পরিচালকের ভাষ্য মতে ছবিটি সেখানে দারুণ সাড়া ফেলেছে। আপনি গেলেন না কেন?
কান-এ না যাওয়ার জন্য আফসোস হচ্ছে! মনে হচ্ছে, কেন গেলাম না। যাইনি মূলত ‘রাজ্য’র জন্য। তবে আমি কিন্তু ‘না রাজি’ ছিলাম না। আসলে অরণ্য দা’কে আরেকবার বললেই হয়তো তিনি নিয়ে যেতেন। ছবিটি নিয়ে কানের লালগালিচায় হাঁটতাম, এটা যখন ভাবি তখন মন খারাপ হয়। অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে হয়তো অন্য কথা বলবে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে মা ছবির টিমটির সাথে আমার থাকা উচিত ছিল।
ছবিতে আপনার চরিত্রের বাচ্চাটিকেও আপনি নিজের সন্তান বলে আগলে রাখতে চেয়েছেন। আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। এটি কী ছবি প্রচারের কোনো স্টান্ট?
স্টান্ট হবে কেন? দেখুন, আমার জীবনে কোনো অভিনয় নেই। কোনো ভণিতা আমি পারি না। আমি অনেকটা খোলা বইয়ের মতো। তাই যেটা ভালো লাগে সেটিই করার চেষ্টা করি।
কমার্শিয়াল ছবি আর এই ধরনের গল্প নির্ভর ছবির ভেতরে একজন অভিনেত্রী কোন পার্থক্যটা খুঁজে পায়?
বেসিক কোনো পার্থক্য আছে কী? আমার তা মনে হয় না। আমরা অভিনয়শিল্পীরা তো গল্পের ঐ চরিত্রটাই হতে চাই। সুতরাং সেটি বিভিন্ন ধরনের গল্পের হতে পারে। তবে আমি জীবনঘনিষ্ঠ চরিত্রে কাজ করতে চাই। ভালো কোনো গল্পে আমি বরাবরই আসক্ত হয়ে থাকি।
কিন্তু আপনাকে নিয়ে নানা জনের এক ধরনের অভিযোগ রয়েছে-ছবির প্রমোশনে পাওয়া যায় না। কিংবা ঠিক সময়ে ফোন ধরেন না!
দেখুন, এসব যদি সত্যি সত্যিই করতাম তাহলে আমার এতগুলো কাজ রিলিজ হতো না। আমি কাজের ক্ষেত্রে বরাবরই কমিটেড। এবারের ছবি মা’ নিয়ে আমিই বরং অরণ্য দাকে বারবার বলছি যে, হল ভিজিটে যেতে হবে ছবির প্রমোশনের জন্য। আমি খুব সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করি, সে কারণেই হয়তো কারও কারও মন খারাপ। তাই নিজেদের মনগড়া কথা ছড়িয়ে বেড়ায়। কিন্তু আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে সবসময়ের জন্য কমিটেড।