ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। তিনিও ইউরোপীয় মানসিকতার কথা জানালেন। গত বছর স্লোভাকিয়ার গ্লোবেসেক ব্রাতিস্লাভা ফোরামে গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘ইউরোপের একটা মানসিকতা প্রবল। সেটা হলো, ইউরোপের সমস্যাই বিশ্বের সমস্যা, কিন্তু বিশ্বের সমস্যা ইউরোপের সমস্যা নয়।’
গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস টেনে আনলেন জয়শঙ্করের তোলা ইউরোপীয় মানসিকতার প্রসঙ্গ। শলৎস বলেছেন, ‘জয়শঙ্করের কথা মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকেও লিপিবদ্ধ রয়েছে। তিনি যে বিষয়টা তুলেছেন, তা ঠিক। এটা শুধু ইউরোপের সমস্যা নয়। ইউরোপ বা আমেরিকাকে জাকার্তা বা দিল্লিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেতে গেলে শুধুমাত্র এক মূল্যবোধের কথা বললেই চলবে না।’
জার্মান চ্যান্সেলরের মতে, ‘ওই দেশগুলোর স্বার্থ ও উদ্বেগের দিকটাও আমাদের বিচার করতে হবে। যৌথ কর্মসূচির মূলে থাকবে এই বিষয়টি। তাই গত বছর জুন মাসে আমরা জি-৭ এর বৈঠকে শুধু এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিনিধিদের আলোচনার টেবিলে এনেছি, এটাই বড় কথা ছিল না। আমি চেয়েছি, তাদের প্রধান সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজতে, দরিদ্র ও ক্ষুধার মোকাবিলা করতে। রাশিয়ার যুদ্ধ ও কোভিডের জন্য ফলে এই সমস্যাগুলো বেড়েছে।’
গত বছর জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘ভারত তো ইউক্রেনকে সমর্থন করছে না। এখন চীনের সঙ্গে সমস্যা হলে, অন্যরা কেন ভারতকে সমর্থন করবে?’ জয়শঙ্কর তখন ইউরোপীয় মানসিকতার কথা বলেন।
তিনি জানান, চীনের সঙ্গে ভারতের ঘনা অনেক আগের। ইউক্রেনের সঙ্গে তার কোনো তুলনা চলে না। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া বা না যাওয়ার জন্য চীনকে কোনো পূর্ববর্তী ঘটনার কথা টানতে হবে না। অথবা ভারতের সঙ্গে সংঘাত শক্ত না সহজ তা বোঝার জন্যও অন্য কোনো দেশের উদাহরণ দরকার হবে না।